Saturday, December 6, 2025
Greeniculture
No Result
View All Result
  • About Us
  • Our Services
  • FAQs
  • Our Team
  • Contact
Greeniculture
No Result
View All Result
Home ফিচার

বাগানে চাষ করুন ঔষধি গুণাগুণ সম্পন্ন করোসল

by Ahmed Imran Halimi
7 years ago
in ফিচার, বাগান করি
Reading Time: 2 mins read
Grow Soursop
Share on FacebookShare on TwitterShare on Reddit

করোসল ফল চায়না, অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকা, ব্রাজিল, মেক্সিকো প্রভৃতি দেশে খুব ভাল জন্মে। করোসল ফলের জন্যে গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চল বেশ উপযোগী। এই ফল শীতপ্রধান অঞ্চলে বাঁচতে পারে না। করোসলের বৈজ্ঞানিক নাম Annona muricata. এর ইংরেজি নাম Soursop. করোসল ফলের গাছটি স্বল্প শাখাপ্রশাখাযুক্ত, ২৫-৩০ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট হয়ে থাকে। এর ফলটি দেখতে ক্রিকেট খেলার স্টেডিয়ামের মতো ওভাল আকৃতির হয়ে থাকে। গায়ে বৃন্তযুক্ত, হলদেটে সবুজ রঙের ফলটির ভক্ষণযোগ্য অংশটি জ্যুসি হয় বিধায় এই ফলটি পানীয়, শরবত হিসেবেই গ্রহণ করা হয়। এতে রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধী ঔষধি গুণ।

মাটি

করোসল ফলের জন্যে ৫-৬.৫ pH মাত্রার মাটি সবচেয়ে উপযোগী। মাটিতে নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভাল থাকতে হবে। বেলে মাটি এই ফলের জন্যে উপযুক্ত হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

বীজ সংগ্রহ ও চারা উৎপাদন

করোসল মাঝ বরাবর কেটে বীজ সংগ্রহ করতে হয়। একটি ফলে মোটামুটি ১২-২০ টি বীজ থাকে। এরপর ঘরের অভ্যন্তরে ছায়াযুক্ত স্থান নির্বাচন করে অঙ্কুরোদগম হওয়ার জন্যে সুযোগ দেওয়া হয়। কুসুম গরম পানিতে বীজকে ২৪ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হয়। পরদিন একটি ট্রে তে কোকোডাস্ট, ভার্মিকুলাইট মিশিয়ে পিট তৈরি করে বীজ বপন করতে হয়। ২-৪ সপ্তাহ পর বীজের ট্রেটিকে আলোর সংস্পর্শে নিয়ে আসতে হবে। প্রতিদিন ৪-৬ ঘন্টা সূর্যের আলোর সংস্পর্শে রাখা বাঞ্ছনীয়। করোসলের বীজ ১৫-৩০ দিনের মধ্যেই অঙ্কুরিত চারা টবে রোপনের উপযুক্ত হয়ে যায়।

ADVERTISEMENT
করোসল গাছের যত্ন
গাছে ঝুলন্ত করোসল

অঙ্কুরিত বীজটিকে এবার টব বা প্লাস্টিকের পাত্রে নিয়ে আসতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে পাত্রটি গাছের চেয়ে বড় হয় যেন। পাত্রের নিচে ছিদ্র থাকতে হবে। মোটামুটি ১ মাসে মধ্যেই চারাগাছ টবে লাগানোর উপযুক্ত হয়ে যায়। টব বা প্লাস্টিকে পাত্রটি পটিংমিক্স দ্বারা পরিপূর্ণ থাকতে হবে। ট্রে থেকে খুব সতর্কতার সাথে চারা তুলে নিতে হবে যেন শিকড় ক্ষতিগ্রস্থ না হয়। শেকড় ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া করোসলের জন্যে বেশ ঝুকিপূর্ণ। এভাবে ৬ মাস বাড়তে দিতে হবে চারাকে।

চারা লাগানোর সময়

ফাল্গুন মাসের শুরুতে বা বসন্তে করোসলের চারা লাগানোর উপযুক্ত সময়।

চারা রোপনের নিয়ম

অঙ্কুরিত বীজটি বাগানে লাগানোর পূর্বে এর পরিবেশ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এমন একটি জায়গা নির্বাচন করতে হবে যেটি দক্ষিণমুখী, সূর্যের আলোযুক্ত স্থান। স্থানটি বাতাস সুরক্ষিত হওয়া অবশ্য জরুরী। করোসল গাছের শাখাপ্রশাখা বেশ ছোট হয়, ঝাপটা বাতাসে এর কান্ড ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এজন্যে গাছ রোপনের জন্যে এমন স্থান নির্বাচন করা জরুরী যেখানে পেছনে দেওয়াল বা কোনো ভিত্ত আছে। যাতে বাতাস বেরিয়ে যাইয়ার পথ না থাকে।

বীজ লাগানোর পূর্বে মাটি ঝরঝুরে করে নিতে র‍্যাকার চালাতে হবে, ২ ইঞ্চি পুরু করে কম্পোস্ট সার দিয়ে মাটি তৈরি করে নিতে হবে। ১২ ইঞ্চি চারাটি রোপনের ক্ষেত্রে একটি গাছ থেকে অপর গাছেত দূরত্ব হতে হবে ১২ ইঞ্চি। নইলে গাছ উপযুক্ত পুষ্টির অভাবে বেড়ে উঠতে পারবে না। গর্ত বড় করে করতে হবে যেন মূল গভীর পর্যন্ত যেতে পারে। মাটি দিয়ে ঢেকে দেওয়ার পর ৩ ইঞ্চি পুরু করে কচুরিপানা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে আর্দ্রতা ধরে রাখতে।

আরও পড়ুনঃ ক্যান্সার প্রতিরোধী করোসল এর ঔষধি গুণাগুণ

ADVERTISEMENT

সেচ

করোসল ফলের গাছটি নিজেই নিজের আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারলেও গ্রীষ্মকালে একে আলাদা সেচ দিতে হয়। শীতকালে অতিরিক্ত সেচ দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। করোসল গাছ খরা সহিষ্ণু। তবে মাটি আর্দ্র থাকার ফলে পোকামাকড়ের সংক্রমণ বেশি দেখা দেয়।

সার প্রয়োগ

করোসল গাছে ৩ ভাগে সার প্রয়োগ করতে হয়। প্রথম বছর একটি গাছের জন্যে হাফ পাউন্ড পরিমাণ সার সমান ৩ ভাগে বিভক্ত করে ৪ মাস পর পর প্রয়োগ করতে হয়।

দ্বিতীয় বছর ১ পাউন্ড সার একই ভাবে প্রয়োগ করতে হয়। তৃতীয় বছর থেকে প্রতিবছর ৩ পাউন্ড সার প্রয়োগ করতে হয়।

করোসল গাছের যত্ন

দ্বিতীয় বছরে গাছের কেন্দ্রীয় অগ্রপ্রান্ত ৩ ভাগের ১ ভাগ অংশ কেটে ফেলতে হবে।

এরপর কাটা অংশের নিচ হতে নতুন শাখা গজানো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এটি দ্বিতীয় লম্বালম্বি শাখা তৈরি করতে সহায়তা করবে। এতে সংখ্যায় ফল বেশি পাওয়া যাবে একটি গাছ থেকে।

৩-৫ বছরের মধ্যে গাছে ফুল ধরা শুরু করবে। করোসল অনেক ধীর প্রজাতির উদ্ভিদ। ধৈর্য্য ধরুন, এর আকাশচুম্বী মূল্য ও ঔষধিগুণের জন্যে হলেও। এটি ফুল ধরা শুরু করলে প্রতিবছর ফুল দিবে নিশ্চিন্তে।

ফল সংগ্রহ

তিন-পাঁচ বছরের মধ্যেই গাছে করোসল ধরে। একেকটি করোসল গাছে ২৫০ গ্রাম-২.৫ কেজি আকৃতির ফল পর্যন্ত ধরে। করোসল হলদে সবুজ হওয়ার সাথে সাথেই সংগ্রহ করে নেওয়া শ্রেয়। একে গাছে নরম হতে দেওয়া উচিত না। এতে ফল বাজারজাতের সময় ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। ফল সংগ্রহের ৫-৬ দিনের মধ্যেই খেয়ে ফেলা শ্রেয়। এরপর এটিতে পচন ধরা শুরু করে। অনেক দিন প্রিজার্ভের জন্যে জ্যুস, পালপ তৈরি করে নেওয়া যেতে পারে।

  • Author
  • Recent Posts
Ahmed Imran Halimi
Follow Me
Ahmed Imran Halimi
Co-founder & COO at Greeniculture
Ahmed Imran Halimi, a challenging social entrepreneur, working in urban food production and greening project. He has been published 100+ blogs in different platform.

In 2018, Imran co-founded Greeniculture, a urban farming platform to provide quality services & contents. Imran was motivated to further his farming career and went on to make a name for himself at different startup incubation, in order to pursue his passion.
Ahmed Imran Halimi
Follow Me
Latest posts by Ahmed Imran Halimi (see all)
  • বাংলাদেশে পঙ্গপাল আক্রমণের সম্ভাবনা - July 10, 2020
  • রকমেলন চাষ ও এর পরিচর্যা - July 6, 2020
  • ঘরোয়া উদ্ভিদের রোগ-বালাই নিয়ন্ত্রণ – দ্বিতীয় পর্ব - July 3, 2020

Share this:

  • Click to share on Facebook (Opens in new window)
  • Click to share on LinkedIn (Opens in new window)
  • Click to share on Twitter (Opens in new window)
  • Click to share on Reddit (Opens in new window)
  • Click to share on Pinterest (Opens in new window)
  • Click to email a link to a friend (Opens in new window)
Tags: করোসল চাষপদ্ধতিকরোসলের বীজ সংগ্রহবাগানে করোসল
Previous Post

ক্যান্সার প্রতিরোধী করোসল এর ঔষধি গুণাগুণ

Next Post

ধানের নেক ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধে করণীয়

RelatedPosts

ঘরোয়া রেসিপিতে আম সংরক্ষণ
ফিচার

ঘরোয়া রেসিপিতে আম সংরক্ষণ

by Greeniculture Desk
September 28, 2024
0

আম নিয়ে আমজনতার মনে কৌতুহলের কমতি নেই। গ্রীষ্মকালের গরমে যতোই কষ্ট হোক কিংবা কালবৈশাখী ঝড়ের যতোই ভয়াবহতা থাকুক না কেনো...

Read more
Mango Preservation

ঘরোয়া উপায়ে আম সংরক্ষণ

September 28, 2024
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টঃ উৎস ও উপকারিতা

অ্যান্টিঅক্সিডেন্টঃ উৎস ও উপকারিতা

September 28, 2024
green pea

মটরশুঁটি চাষ পদ্ধতি

September 28, 2024
Thumnail Nahid Hasan

ফুল গল্প

September 28, 2024
Removing Snail

বাগান থেকে শামুক দূর করার উপায়

August 16, 2020
Next Post
Neck Blast of rice

ধানের নেক ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধে করণীয়

7 Plants

পোকামাকড়কে দূরে রাখে যে ৭ টি উদ্ভিদ

Stem Borer of litchi

লিচুর মাজরা পোকার প্রতিকার

Comments 2

  1. Advertisements
  2. Pingback: ক্যান্সার প্রতিরোধী করোসল এর ঔষধি গুণাগুণ | Greeniculture
  3. Pingback: ক্যান্সার প্রতিরোধী করোসল এর ঔষধি গুণাগুণ – লিংকবিডি নিউজ

Leave a ReplyCancel reply

Recent Posts

  • স্বাদ অক্ষুণ্ণ রেখে গোশত সংরক্ষণের উপায়
  • পেঁয়াজের রোগ-বালাই ও এর দমন ব্যবস্থা – পর্ব ২
  • পেঁয়াজের রোগ-বালাই ও এর দমন ব্যবস্থা – পর্ব ১

Sites

  • ShopNew
  • Blog
  • Certificates
  • Contact Us

Quick Links

  • Privacy Policy
  • Terms and Conditions
  • Blogs Disclaimer
  • Cookie Policy
  • About Us
  • Blog
  • Blogs Disclaimer
  • Certificates
  • Contact
  • Contact Us
  • Cookie Policy
  • FAQs
  • Greetings
  • Home
  • Our Services
  • Our Team
  • Privacy Policy
  • Terms and Conditions

© 2025 JNews - Premium WordPress news & magazine theme by Jegtheme.

No Result
View All Result
  • About Us
  • Our Services
  • FAQs
  • Our Team
  • Contact

© 2025 JNews - Premium WordPress news & magazine theme by Jegtheme.

Welcome Back!

Login to your account below

Forgotten Password?

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In