Saturday, December 6, 2025
Greeniculture
No Result
View All Result
  • About Us
  • Our Services
  • FAQs
  • Our Team
  • Contact
Greeniculture
No Result
View All Result
Home বাগান করি

বাগান শুরু করার ১০ টি দুর্দান্ত আইডিয়া

by Ahmed Imran Halimi
6 years ago
in বাগান করি
Reading Time: 3 mins read
10 ideas for starting a garden
Share on FacebookShare on TwitterShare on Reddit

শহুরে জীবনে নিজের একটি বাগান সবারই চাওয়া থাকে। তবে আমরা অনেকেই জানি না কিভাবে একটি দুর্দান্ত বাগান শুরু করা যেতে পারে। অভিজ্ঞদের পরামর্শ, ইউটিউব ভিডিও, ভাল আর্টিকেল খুঁজে বের করতে চাই সেরা কোনো সমাধান। এরকমই ১০ টি মৌলিক কর্মযজ্ঞের তালিকে তৈরি করেছি আমরা। এই তালিকা অনুসরণ করে খুব সহজেই এক চিলতে বাগানের মালিক বনে যেতে পারেন আপনিও।

পরিবারের নিরাপদ খাদ্য চাহিদা মেটাতে এবং প্রকৃতির মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দিতে নিজস্ব বাগান শুরু করা একটি অ্সাধারন কাজ। আপনি সুগন্ধী ফুলের বাগান করুন কিংবা  শাকসবজি-ফলের বাগান শুরু করুন , হাতকে নোংরা করে দারুন কিছু করে ফেলতে পারেন। তবে শুরুটা কোথা থেকে করবেন, এটা  জানাই সবচেয়ে মুশকিলের ব্যাপার হতে পারে। আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে তইরি এই বাগানের তালিকাটি অনুসরণ করে আপনি রঙিন ফুল, পুষ্টিকর ফল ও তাজা শাক-সবজি সমৃদ্ধ একটি বাগান অনায়াসেই কবানিয়ে ফেলতে পারবেন।

আপনার সুযোগকে কাজে লাগান

আপনি কি সবজির বাগান করতে চান? অথবা একটি ভেষজ উদ্যান? কিংবা  ফুলের বাগান? আপনার খাবার টেবিলের জন্য যদি আপনি শাকসবজি এবং/বা ভেষজকে সবচেয়ে বেসি গুরুত্ব দেন, আপনার খাদ্য তালিকার জন্যে কোনটি সবচেয়ে উপযুক্ত সেটি জানার চেষ্টা করুন। যদি মানসিক উদ্দীপনা, রঙ এবং সুগন্ধের জন্য ফুল চাষ করতে চান, তবে সিদ্ধান্ত নিন যে বর্ষজীবি ফুলের গাছ লাগিয়ে বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় জুড়ে ফুলের সাথে কাটাতে চান, যে গাছগুলো আপনাকে বছর বছর পরিবর্তন করতে হবে। অন্যদিকে বহুবর্ষজীবি ফুলের গাছ অনেক বছর ধরে বেঁচে থাকবে, তবে এরা বছরে খুবই অল্প সময়ের জন্যেই ফুটবে। যেকোনো পছন্দই সুন্দর, তবে এদের রক্ষণাবেক্ষণে রয়েছে একেক রকম স্ট্রাগল।

ADVERTISEMENT

টিপসঃ আপনি কী করতে চাচ্ছেন সেটা সম্পর্কে না জানা অবধি ছোট করে শুরু করুন।

সঠিক জায়গা বাছাই করুন

প্রায় সবজি এবং বেশিরভাগ ফুলের জন্য প্রতিদিন ৬-৮ ঘন্টা পূর্ণ রোদের প্রয়োজন। আপনি যেখানে বাগান করতে চাচ্ছেন, সেটির কোন স্পটগুলি আংশিক বা পূর্ণ সূর্যালোক দ্বারা বেষ্টিত তা নির্ধারণের জন্যে একদিন পুরোটা জুড়ে পর্যবেক্ষণ করুন। আপনি ছায়াময় স্থানে টমেটো গাছ জন্মাতে পারবেন না তবে অন্যান্য অনেক গাছ (যেমন, ফার্ন এবং হোস্টাস) ছায়াযুক্ত স্থান অনেক পছন্দ করে। সুতরাং আপনার বাগান করার স্থান যদি ছায়াযুক্তও হয়, হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। আপনার উদ্ভিদের আলোর প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার জন্য এই পদক্ষেপটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। গাছের বৈশিষ্ট্যগুলো নিয়ে ঘাটাঘাটি করুন বা আপনার স্থানীয় নার্সারীতে জিজ্ঞাসা করুন কোন গাছের জন্য কতটুকু সূর্যের আলো প্রয়োজন।

তিনটি অতিরিক্ত টিপস

আপনার বাগানের জন্য তুলনামূলকভাবে সমতল জায়গা বাছাই করুন কারণ বাগান করার ক্ষেত্রে মাটি লেভেলিং করার জন্যে পরিশ্রম করা কঠিন, সময়সাপেক্ষ এবং ব্যয়বহুল। বাতাসের প্রবেশস্থল পরীক্ষা করুন (আপনার বাড়ি বা আপনার প্রতিবেশীর বাড়ি) ঝাপটা বাতাসের দকারণে গাছ ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। বাগানটি এমন জায়গায় শুরু করুন যেখানে আপনি মনোযোগ দেওয়ার জন্য যথেষ্ট সুযোগ তৈরি হবে। বাগান আড়ালে করলে খুব সহজেই আপনার এর প্রতি মনোযোগ হারিয়ে যেতে পারে। ঢাকা শহরে ছাদবাগান করাই সবচেয়ে উপযুক্ত। আপনার ছাদ বাগানটি যদি রাস্তা থেকেই স্পষ্ট দেখা যায়, তবে আপনি বাসায় ফেরার সময় চোখ পড়বে, যা কিনা খুব সহজেই আপনাকে বাগানের প্রতি আমন্ত্রণ জানাবে।

বাগান করার দুর্দান্ত কিছু পন্থা
বাগান করার দুর্দান্ত কিছু পন্থা

বাগানের জায়গাটি পরিষ্কার করুন

আপনি যদি মাটিতে বাগান করতে চান, তবে এই অসাধারণ টিপসটি আপনার জন্য। যে স্থানে বাগান করার পরিকল্পনা করছেন সেখানে ঘাসের আস্তরণ যত দ্রুত সম্ভব পরিষ্কার করে ফেলুন। আপনি যদি দ্রুত ফলাফল চান (যেমন, এটি বসন্তকাল বাগান করার পরিকল্পনা করছেন এবং সামনের গ্রীষ্মের মধ্যে সবজি পেতে চান), এগুলো কেটে ফেলুন। একটি কোদাল দিয়ে ধীরে ধীরে কুপিয়ে ঘাসের আস্তরণ তুলে ফেলুন, এবং এই ঘাসগুলো পরবর্তীতে ব্যবহারের জন্যে কম্পোস্ট করুন।

ADVERTISEMENT

কাগজের পত্রিকার সাহায্যে ঘাসকে কম্পোস্ট করা সহজ, যদিও এটি বেশি সময় নেয়। আপনার ভবিষ্যতের বাগানটিকে পাচটি পত্রিকার আস্তরণ দিয়ে ঢেকে ফেলুন; সংবাদপত্রে ৩ ইঞ্চি কম্পোস্টের স্তর (বা পটিং মিক্স এবং মাটির সংমিশ্রণ) ছড়িয়ে দিন  এবং রেখে দিন। কম্পোস্ট এবং কাগজ পচে যেতে প্রায় চার মাস সময় লাগবে। শীতের মধ্যেই বাগান করার জন্য একটি অসাধারণ মাটির স্তর তৈরি হয়ে যাবে, যেখানে কোনও ঘাস বা আগাছা থাকবে না এবং প্রচুর পরিমাণে জৈবসমৃদ্ধ মাটি পাবেন।

মাটির গুণগত মান বৃদ্ধি করুন

মাটি যত উর্বর এবং ঝুরঝুরে হবে, শাকসব্জী তত চাষোপযোগী হবে। একই কথা অন্যান্য উদ্ভিদের ক্ষেত্রেও সত্য। অন্যদিকে, আবাসিক অঞ্চলের মাটির বিশেষ ট্রিটমেন্ট প্রয়োজন, বিশেষত প্রথমবার যখন বাগান করা হয়। আপনার মাটি অত্যধিক ভেজা, জৈব পুষ্টিবিহীন এবং অনুর্বর, বা খুবই অ্যাসিডিক বা খুবই ক্ষারযুক্ত হতে পারে। সমাধানটি বেশ সহজঃ  জৈব পদার্থ যুক্ত করুন। আপনি চাষ করার সময় বা নতুন উদ্ভিদের বেড তৈরি করা পর্যন্ত মাটিতে ২ থেকে ৩ ইঞ্চি স্তর কম্পোস্ট, ঝরে পড়া পাতা, শুকনো ঘাসের খড় বা পুরানো সার যুক্ত করুন। আপনি যদি চাষ না করার সিদ্ধান্ত নেন বা আগের তৈরি বিছানা নিয়ে কাজ করেন, জৈব পদার্থটি মাটির উপরে ওলট-পালট করে বিছিয়ে দিন, এটি শেষ পর্যন্ত হিউমাসে পরিণত হবে। সাথে কিছু কেঁচো ঢেলে দিলে জমির সাথে হিউমাস মিশ্রণের কাজ ওরাই  করে দিবে।

আপনার মাটি সম্পর্কে আরও জানার জন্য, আপনার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কিংবা মৃত্তিকা উন্নয়ন অধিদফতরের মাধ্যমে মাটি পরীক্ষা করুন। তারা কিছু পদ্ধতির মাধ্যমে কাজগুলো করে থাকেঃ বাগানের কোন অংশ থেকে কতটুকু মাটি নিতে হবে এবং নমুনা সংগ্রহের সর্বোত্তম সময়। অন্তত দু’সপ্তাহ ধরে মাটির বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করুন, এরপর আপনি নিশ্চিতভাবে জানতে পারবেন যে আপনার মাটিতে কী অভাব রয়েছে এবং কীভাবে এটি মেটাতে পারবেন ।

মাটিকে ভালভাবে প্রস্তুত করুন

বীজ বপন বা লাগানোর থেকে নতুন বেড প্রস্তুত করতে মাটি নিয়ে কাজ করা অপরিহার্য। কেননা এটি শিকড়কে প্রয়োজনীয় জলীয় উপাদান এবং পুষ্টির নিশ্চয়তা দিয়ে আরও সহজে মাটিতে প্রবেশ করতে সাহায্য করে। দুটি পদ্ধতি রয়েছে: কর্ষণ এবং খনন।

কর্ষণ মূলত একটি টিলার যন্ত্রের সাহায্যে মাটি চাষ করার পদ্ধতি। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এরকম পদ্ধতি খুব একটা অনুসরনীয় নয়। কেননা এটি ব্যয়বহুল এবং অধিক জায়গার প্রয়োজন হয়। যখন আপনার প্রচুর পরিমাণে মাটি তৈরির কাজ করা দরকার পড়ে, সেসব ক্ষেত্রে এই পদ্ধতিটি উপযুক্ত। তবে এটি অণুজীব এবং কেঁচোকে ক্ষতি করতে পারে। সুতরাং খুব বেশি করার চেয়ে যতটুকু পারা যায় কম করাই শ্রেয়। মাটি যখন খুব বেশি ভেজা বা শুকনো হয় তখন মাটির কাঠামো এবং গাছের শিকড় ক্ষতি হতে পারে।

ছোট বেড তৈরি করার জন্য মাটি খনন পদ্ধতি আরও কার্যকর। মাটি কেবল তখনই খনন করুন যখন এক মুঠো মাটি দলা পাকিয়ে বল করার জন্য উপযুক্ত। জৈব পদার্থ মিশ্রিত করে উপরিভাগের ৮ থেকে ১২ ইঞ্চি মাটিটি আলতোভাবে ওলট-পালট করে দিন একটি ধারালো কোদাল দিয়ে। (প্রস্তুত বিছানায় হাঁটলে মাটি ভালভাবে যুক্ত হতে পারে, তাই মাটির বেডের উপরে হেঁটে নিতে পারেন)

বাগান করতে লাগবে এসব সরঞ্জাম
বাগান করতে লাগবে এসব সরঞ্জাম

সঠিক গাছটি বাছাই করুন

আপনি আপনার এলাকার জলবায়ু নির্ভর; জমি এবং সূর্যের আলোতে অভিযোজিত উদ্ভিদ নির্বাচন করেন। উদ্ভিদ বিষয়ক ভাল ধারণা পাওয়ার জন্যে আপনি ইন্টারনেটই ঘোরাঘুরি করে তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন। এখানে নতুনদের জন্য কয়েকটি সহজ-বর্ধমান উদ্ভিদের তালিকা রয়েছেঃ

বর্ষজীবিঃ  ক্যালেন্ডুলা , কসমস, গাঁদা, সূর্যমুখী এবং জিনিয়া

বহুবর্ষজীবীঃ  ধনিয়া পাতা, চাইভস, লেমন বাম, নিম, থাইম, পুদিনা

শাকসবজি:  শসা, লেটুস,  মরিচ এবং টমেটো।

আপনার বাছাই করা উদ্ভিদ রোপন করুন

কিছু গাছ শীত সহ্য করতে পারে, তাই আপনি শরত্কাল বা শীতের শেষ দিকে এসব উদ্ভিদ রোপণ করতে পারেন। অন্যদিকে টমেটো এবং বেশিরভাগ বর্ষজীবি ফুল উষ্ণ তাপমাত্রা পছন্দ করে, তাই শৈত্য প্রবাহ চলাকালীন এসব না লাগানোই ভাল। বহুবর্ষজীবী গাছ লাগানোর জন্য মার্চ এবং অক্টোবর মাস ভাল সময়।

অনেক গাছ, যেমন লেটুস এবং সূর্যমুখী, সরাসরি বাগানে বীজ থেকে জন্মায়। এদের লাগানোর সময়, বপনের গভীরতা এবং ব্যবধান সম্পর্কে তথ্যের জন্য বীজের প্যাকেটের তথ্য পড়তে ভুলবেন না। যদি আপনি একজন নবীন শিক্ষানবিস হন, তবে শেষ শীতের কয়েক সপ্তাহ আগে বাড়ির ভিতরে বীজ বপন করে ক্রমবর্ধমান বাড়াতে থাকুন। নার্সারীতে চারা এবং বীজ রোপন করে বাড়তে দেওয়ার জন্যে ছোট পাত বা ধারক কিনতে পারবেন। কিংবা বাড়িতেই বোতল, কন্টেইনার কেটে বানিয়ে ফেলতে পারবেন এটি। বীজ-প্যাকেটের নির্দেশাবলী অনুসরণ করে আপনার জানালা পাশে যেপাশে রোদ পরে সেখানে আলোর নিচে ধারকগুলি রাখুন। বীজ এবং চারাগুলি আর্দ্র রাখুন, তবে ভেজা না থাকে সেই ব্যাপারে নিশ্চিত হন। নইলে সেগুলি পচে যেতে পারে।

বাগান শুরু করার সময় অল্প বয়স্ক উদ্ভিদ কেনা সবচেয়ে ভাল, এদেরকে ট্রান্সপ্ল্যান্টও বলা হয়। উপযুক্ত নির্দেশিকার উপর ভিত্তি করে আপনার প্রস্তুত বেডে গর্ত খনন করুন। নীচ থেকে উপরের দিকে চাপ দিয়ে টব থেকে গাছটি সরান। যদি শিকড়গুলি একটি বলের মতো স্তূপ হয়ে থাকে, তবে গর্তের মধ্যে স্থাপনের আগে কাঁটাচামচ বা আঙ্গুল ব্যবহার করে সেগুলো ছাড়িয়ে দিন। শিকড়ের চারপাশে মাটি ঝুরঝুরে করুন, তারপরে পানি দিয়ে মাটি ভিজিয়ে রাখুন।

সঠিক সময়ে পানি সেচ দিন

চারাকে কখনোই শুকিয়ে যেতে দেওয়া উচিত নয়, তাই প্রতিদিন পানি সেচ দিবেন। চারাগুলিতে শিকড় না গজানো অবধি নিয়মিত পানি সেচ দিবেন – চারা গজানোর পর অনিয়মিতভাব সেচ দিতে হবে। আপনার বাগানে কতবার পানি সেচ দেওয়ার প্রয়োজন তা নির্ভর করে মাটি, আর্দ্রতা এবং বৃষ্টির উপর; যদিও সপ্তাহে একবার অবশ্যই পানি দিতে হবে। বেলে মাটির চেয়ে কাঁদা মাটি দ্রুত শুকিয়ে যায়। ঠান্ডা ও মেঘলা আবহাওয়ার চেয়ে রোদ ও বাতাসের উপস্থিতিতে মাটি দ্রুত শুকিয়ে যায়। মাটি পৃষ্ঠের ৩ থেকে ৪ ইঞ্চি নীচে আঙ্গুল প্রবেশ করিয়ে দেখুন। যদি এটি শুকনো অনুভব করেন, তবে পানি দেওয়ার উপযুক্ত সময়। আস্তে আস্তে এবং গভীরভাবে পানি দিন, এতে পানি আস্তে আস্তে মাটিতে প্রবেশ করবে। পানির শুকিয়ে যাওয়া হ্রাস করতে, খুব ভোরে পানি দিন।

কন্টেইনার বাগান
কন্টেইনার বাগান

বাগানকে মালচিং দিয়ে সুরক্ষিত করুন

আগাছা দূর করতে এবং মাটির আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করতে খড়কুটো, রান্না ঘরের জৈব বর্জ্য দিয়ে দিয়ে মাটির চারপাশে ঢেকে রাখুন। এতে আপনাকে নিয়মিত পানি দেওয়ার ঝামেলা পোহাতে হবে না এবং সূর্যের আলো দ্বারা মাটি দ্রুত শুকিয়ে যাওয়া থেকে বিরত রেখে আগাছার জাতীয় উদ্ভিদ জন্মাতে দিয়ে বাধা দিবে। মালচিং করার বিভিন্ন উপাদানের মধ্যে যেটি আপনার নিকট সহজলভ্য, সেটি ব্যবহার করুন। উদ্ভিদের ছিন্ন বাকল, খড়কুটো, রান্নাঘরের বর্জ্য ইত্যাদি। আপনি যদি কোনও জৈব উপাদান, যেমন বাকল, কম্পোস্ট বা কোকো পিটের গোলা ব্যবহার করেন, এটি ক্ষয় হওয়ার সাথে সাথে মাটিকে পুষ্টি উপাদাআন সরবরাহ করবে। একটি সবজি বাগান বা বর্ষজীবি উদ্ভিদের বাগানের জন্যে পচতে কয়েক মাস সময় নিবে কম্পোস্ট নির্বাচন করুন। বহুবর্ষজীবীদের জন্য, দীর্ঘস্থায়ী স্থির মাল্চ ব্যবহার করুন।

এভাবে চালিয়ে যেতে থাকুন

আপনার বাগান যখন বাড়তে শুরু করবে, যেকোনো নবীন বাগানীদের জন্যেই এটি আনন্দের মুহূর্ত। বাগানের কাজ চালিয়ে যেতে থাকুন যতক্ষন না এটি পরিপূর্ণভাবে দাঁড়িয়ে না যাবে। নিয়মিত বিরতিতে পানি দিন। আগাছা বড় হওয়ার আগেই তুলে ফেলুন। মৃতপ্রায়, মরা এবং রোগাক্রান্ত গাছপালা বিনষ্ট করে ফেলুন। ধ্বংসাত্মক পোকামাকড় কীটনাশক সাবান স্প্রে করে যত দ্রুত সম্ভব ধ্বংস করে ফেলুন। লম্বা গাছ (যেমন, টমেটো) লাঠি দিয়ে নরমভাবে বেধে বাড়তে দিন। শাকসবজি বাড়ন্ত হওয়ার সাথে সাথেই সংগ্রহ করুন। এবং সেগুলোর গন্ধ নিয়ে পরীক্ষা করে দেখুন। যেরকমই হোক না কেন, আপনার তৈরি বাগানের ফল।

আপনি উদ্ভিদ রোপনের আগে যদি মাটিকে কম্পোস্ট দিয়ে তৈরি করে নেন, তবে আপনাকে অতিরিক্ত কোনোপ্রকার সার দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। তারপরে আবার কিছু শাকসব্জীর (যেমন টমেটো) জন্যে প্রচুর পুষ্টির প্রয়োজন এবং এরা প্রতি তিন থেকে চার সপ্তাহ পর পর সারের প্রয়োজন হতে পারে। সহায়তার জন্য বাগান নার্সারি বা কোনো উদ্ভিদবিদের পরামর্শ নিতে পারেন এবং সর্বদা সতর্কতার সাথে নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন।

আরও পড়ুনঃ মানসিক ও শারীরিক সুস্থতায় বাগানের কার্যকারিতা

  • Author
  • Recent Posts
Ahmed Imran Halimi
Follow Me
Ahmed Imran Halimi
Co-founder & COO at Greeniculture
Ahmed Imran Halimi, a challenging social entrepreneur, working in urban food production and greening project. He has been published 100+ blogs in different platform.

In 2018, Imran co-founded Greeniculture, a urban farming platform to provide quality services & contents. Imran was motivated to further his farming career and went on to make a name for himself at different startup incubation, in order to pursue his passion.
Ahmed Imran Halimi
Follow Me
Latest posts by Ahmed Imran Halimi (see all)
  • বাংলাদেশে পঙ্গপাল আক্রমণের সম্ভাবনা - July 10, 2020
  • রকমেলন চাষ ও এর পরিচর্যা - July 6, 2020
  • ঘরোয়া উদ্ভিদের রোগ-বালাই নিয়ন্ত্রণ – দ্বিতীয় পর্ব - July 3, 2020

Share this:

  • Click to share on Facebook (Opens in new window)
  • Click to share on LinkedIn (Opens in new window)
  • Click to share on Twitter (Opens in new window)
  • Click to share on Reddit (Opens in new window)
  • Click to share on Pinterest (Opens in new window)
  • Click to email a link to a friend (Opens in new window)
Tags: এসো বাগান করিকম খরচে বাগান করিকিভাবে বাগান শুরু করবেনবাগান করতে যা যা লাগবেবাগান করতে যে বিষয়গুলো আপনাকে মানতে হবেবাগান শুরু করতে যা যা জানা থাকা দরকারবাগান শুরু করার আইডিয়া
Previous Post

আঙ্গুর চাষ এবং এর পরিচর্যা

Next Post

রজনীগন্ধা ফুল চাষ কৌশল

RelatedPosts

green pea
বাগান করি

মটরশুঁটি চাষ পদ্ধতি

by Greeniculture Desk
September 28, 2024
0

মটরশুঁটি  আমাদের দেশে একটি জনপ্রিয় শীতকালীন সবজি। এটি এতো জনপ্রিয় হওয়ার মূল কারণ হলো এটি যেকোনো অবস্থায় খাওয়া যায়। যেমন...

Read more
Removing Snail

বাগান থেকে শামুক দূর করার উপায়

August 16, 2020
Ladies Finger

জমিতে ঢেঁড়স বা ভেন্ডির চাষ

July 18, 2020
Yellowing Leaves

গাছের পাতা হলুদ হওয়ার কারণ ও এর প্রতিকার

July 18, 2020
Bee friendly garden

মৌমাছি সংরক্ষণে মৌমাছি-বান্ধব বাগান তৈরি

July 18, 2020
Turnip Benefits

শালগমের ১০ টি উপকারিতা ও চাষপদ্ধতি

July 18, 2020
Next Post
How to grow tuberose

রজনীগন্ধা ফুল চাষ কৌশল

Agricultural activities during pandemic

মহামারীতে খাদ্য ঘাটতি মোকাবেলায় আমাদের করণীয়

gardening for mental peace and health

মানসিক ও শারীরিক সুস্থতায় বাগানের কার্যকারিতা

Comments 4

  1. Advertisements
  2. Nusrat says:
    December 20, 2020 at 2:44 PM

    অসংখ্য ধন্যবাদ, এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করার জন্য। আমি গত কয়েক সপ্তাহ ধরে একটি বাগান করার কথা ভাবছি। কিন্তু বাগান করার বিষয়ে সঠিক জ্ঞান বা বাগানের জন্য প্রয়োজনীয় gardening tools এর ব্যাপারে সঠিক ধারনা না থাকার কারনে শুরু করতে পারছিলামনা। তবে এখন আমি অনেকটাই আশাবাদী যে আমি আমার স্বপ্নের বাগানটি খুব সহজেই তৈরি করতে পারব।

    Reply
    • Greeniculture Wings says:
      December 21, 2020 at 8:55 PM

      ধন্যবাদ আপনার কমেন্টের পাশাপাশি দুর্দান্ত ব্যাকলিংকের জন্যে। চিন্তা করবেন না, আপনার ব্যাকলিংকটি আমরা সরাবো না। আমাদের অন্যান্য লেখাসমূহ পড়ার জন্যে আমন্ত্রণ রইলো।

      Reply
    • Greeniculture Wings says:
      December 21, 2020 at 9:00 PM

      We have a 10,000 quality readers per month in Greeniculture. If you want to affiliate your business in our website, we can help you with a competitive price range. Waiting for knowing your opinion.

      Contact: [email protected]

      Reply
  3. nickbird545 says:
    March 15, 2022 at 5:16 PM

    Thank you so much for sharing such great ideas about gardening. These Materials are very important for gardening.

    Reply

Leave a ReplyCancel reply

Recent Posts

  • স্বাদ অক্ষুণ্ণ রেখে গোশত সংরক্ষণের উপায়
  • পেঁয়াজের রোগ-বালাই ও এর দমন ব্যবস্থা – পর্ব ২
  • পেঁয়াজের রোগ-বালাই ও এর দমন ব্যবস্থা – পর্ব ১

Sites

  • ShopNew
  • Blog
  • Certificates
  • Contact Us

Quick Links

  • Privacy Policy
  • Terms and Conditions
  • Blogs Disclaimer
  • Cookie Policy
  • About Us
  • Blog
  • Blogs Disclaimer
  • Certificates
  • Contact
  • Contact Us
  • Cookie Policy
  • FAQs
  • Greetings
  • Home
  • Our Services
  • Our Team
  • Privacy Policy
  • Terms and Conditions

© 2025 JNews - Premium WordPress news & magazine theme by Jegtheme.

No Result
View All Result
  • About Us
  • Our Services
  • FAQs
  • Our Team
  • Contact

© 2025 JNews - Premium WordPress news & magazine theme by Jegtheme.

Welcome Back!

Login to your account below

Forgotten Password?

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In