আম গাছের অন্যতম ধ্বংসাত্মক পোকা হল আমের হপার। পূর্নাঙ্গ কীট বাদামী বর্ণের এবং দেখতে কীলকাকৃতি বা ত্রিকোনাকার হয়ে থাকে। এদের শুককীট ও একি রকম আকৃতির হলেও আকার ও গায়ের বর্ণ এ ভিন্নতা রয়েছে। এরা উপযুক্ত স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে মোটা ঝোপঝাড় ধরনের গাছে বেশি আক্রমণ করে। শুককীট ও পূর্নাঙ্গ কীট উভয়েই গাছের ক্ষতি করে থাকে। এদের আক্রমণের সবচাইতে উপযুক্ত সময় হচ্ছে জানুয়ারি থেকে মার্চ এবং মে হতে জুলাই।
আরও পড়ুনঃ আমের শত্রু মিলিবাগ দমন
শুককীট ও পূর্নাঙ্গ কীট গাছের বিভিন্ন অংশে যেমন পাতা, ফল, ফুল এ একধরনের ছিদ্র করে ও টিস্যুরস শুষে নেয়। ফলে গাছ দুর্বল হয়ে পড়ে। পাতা, ফুল, ফল, ডালপালা শুকিয়ে যায়। গাছ বিবর্ণ হয়ে যায় এবং বাদামী বর্ণ ধারণ করে। এছাড়াও এরা একধরনের লালা ক্ষরণ করে যা অন্যান্য পোকাকে আকৃষ্ট করে এবং এক ধরনের কালো রং এর ছত্রাক বৃদ্ধিতে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করে।
ছোট গাছ মারাত্মক ভাবে আক্রান্ত হলে এরা যখন বড় হয় তখন আর ফল দিয়ে থাকে না। ফলে কৃষকের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যায়।
আরও পড়ুনঃ আমের মুকুল ঝরা প্রতিরোধের উপায়
প্রতিকারের উপায়
ক) আমের বাগান প্রায়ই চাষ করে ও আগাছা নির্মূল করে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
খ) আমের গাছ ঘন ভাবে রোপণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
গ) জমিতে যাতে আবদ্ধ পানি না থাকে এবং স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ না থাকে তা খেয়াল রাখতে হবে।
ঘ) অধিক্রমনকৃত গাছগুলো ছেঁটে ফেলে দিতে হবে।
ঙ) নিম দিয়ে আমের হপার দমন করা সম্ভব।
চ) বাগানে সূর্যের আলো প্রবেশ করার সুযোগ দিতে হবে।
ছ) ফুট পাম্প দিয়ে কীটনাশক ছিটিয়ে দিতে হবে।
জ) Cypermethrin 10EC অথবা Lamda cyhalothrin 2.5EC প্রতি এক লিটার পানিতে ১ মিলিলিটার করে মিশিয়ে নিতে হবে।
ঝ) অথবা Actara 25WG প্রতি এক লিটার পানিতে আধা মিলি অথবা Admire 200Sl প্রতি এক লিটার পানিতে আধা মিলিলিটার মিশিয়ে ব্যবহার করা যায়।
ঙ) Sumicidin 20EC অথবা Fentox 20EC প্রতি এক লিটার পানিতে এক মিলিলিটার মিশিয়ে ব্যবহার করা যাবে।
আরও পড়ুনঃ আমের বোঁটা পচা রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
- জেনে নিন গোল মরিচের ১০ টি চমৎকার উপকারিতা - September 11, 2020
- মালবেরি বা তুঁত চাষ পদ্ধতি - May 23, 2020
- ছাদবাগানে আম চাষ – আম গাছের জোড় কলম পদ্ধতি - March 20, 2020