আমরা সবাই আরামপ্রিয় মানুষ। কিন্তু একটা নতুন দিন মানেই ব্যস্ততার মধ্যে পার করা। এই কনক্রিটের নগরীতে দিন শেষে সকল কাজের পর নিজের বাসাতেই শুধু স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারি। আর যদি ঘরে থাকে সবুজে ঘেরা এক স্নিগ্ধকর মনোমুগ্ধকর পরিবেশ। তাহলে আরামের জায়গাটি আরো দ্বিগুণ বেড়ে যায়। অনেকের হয়তো বাগান করার শখ আছে কিন্তু ঢাকা শহরের মতো যান্ত্রিক শহরে হয়তো করা হয়ে উঠে না। তাই নিজ বাসাতেই করে ফেলতে পারেন নিজের বাগান। নিজ বাসায় ইনডোর প্ল্যান্ট দিয়ে গোছানোর পাশাপাশি আপনার অন্দরমহলকে ক্ষতিকারক গ্যাস থেকে মুক্ত করতে পারেন। আর ঘরের কোন জায়গায় কি ধরণের ইনডোর প্ল্যান্ট রাখা যায় তা নিয়ে কিছু আইডিয়া শেয়ার করতে যাচ্ছি। ঘরের বসার জায়গা থেকে শুরু করে কিচেন পর্যন্ত কোথায় কোন গাছ লাগানো যেতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করা যাক।
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুমে
ইনডোর প্লান্ট ও শোভা বর্ধনকারী গাছ হিসাবে এমন প্লান্ট ব্যবহার করা উচিৎ যা এসি রুমে বেঁচে থাকতে পারে। এসিরুমে বেঁচে থাকতে পারে এমন প্লান্ট হিসেবে টেরিস, সিলভার কুইন, পাতাবাহার, হাইডেনজিয়া, পান্থপথ, চায়নিজ পাম, পিচুটিয়া পাম, রেড পাম, কচুঘাস, বাঁশ পাতা, ড্রাসিলা, ড্রাসিনা, গোল্ডেন ড্রাসিনা, টেরিস, ক্যাকটাস, আলপেনিয়া, বিভিন্ন প্রকার অর্কিড এবং ফার্ন এর প্রজাতি, মানিপ্লান্ট, বনসাই, ফরচুন ট্রি, মালপুচিয়া, লাভলিক, এরিকা পাম, তুলসি ইত্যাদি। ঘরের বিভিন্ন স্থানে আকার ও উচ্চতা অনুযায়ী এই গাছগুলো আপনার ইচ্ছানুযায়ী সাজিয়ে রাখতে পারেন। ঘরোয়া উদ্ভিদের যত্ন-আত্তি নিয়ে পড়ুনে বিস্তারিত।
দরজার সামনে
ঘরের দরজা বা লিফট এর সামনে রাখা যায় মাঝারি আকৃতির গাছ যেমনঃ ফার্ণ, মানিপ্লান্ট, ড্রাসিনা, পাম গাছের প্রজাতি ইত্যাদি গাছ। এছাড়া বিভিন্ন ধরণের ফুল বা পাতা এবং বাশ দিয়ে তৈরি মালা দরজার সামনে ঝুলালেও সুন্দর লাগবে।
বসার ঘরে
একটু বড় ধরনের গাছ রাখা যায় বসার ঘরের কর্ণারে। যেমনঃ বকুল গাছ, পাতাবাহার, অ্যান্থুরিয়াম, এস্পারাগাস ফার্ণ, পাতাবাহার, ড্রাগন ট্রি, অর্কিড, স্পাইডার প্লান্ট, রাবার প্লান্ট, পাম গাছ, ফিলোডেন্ড্রন, কফি প্লান্ট ইত্যাদি। প্যাশন ফল নিয়ে বিস্তারিত জানুন
শোবার ঘরে
অপেক্ষাকৃত ছোট গাছ রাখা যায় শোবার ঘরে অর্কিড, ফার্ণ, ক্যাকটাস, বাঁশ গাছ, ড্রাসিনিয়া ইত্যাদি।
রান্নাঘরে
বিভিন্ন প্রজাতির পাম, পাতাবাহার, তুলসি রাখা যায় রান্নাঘরে। ছোট টেবিলে ক্যাকটাস, বনসাই, সাকুলেন্ট।
বাথরুমে
বাথরুমে ইনডোর গাছ হিসেবে ব্যবহার করা যায় গোল্ডেন পথোস, নিয়ন পথোস, স্পাইডার প্লান্ট, ইংলিশ ইভি, ব্রোমেলিয়াডস, এলোভেরা, পিস লিলি, স্নেক প্লান্ট, চাইনিজ এভারগ্রিন।
অন্যান্য ক্ষেত্রে
ঘরের কর্ণারে ও বারান্দা সাজানো যায় যেকোন ধরণের গাছ দিয়ে। জানালা ও বারান্দার গ্রীলে ঝুলিয়ে দেয়া যায় ঝুলন গাছ। বিভিন্ন প্রকার ফার্ণ ও লতানো উদ্ভিদ ব্যবহার করা যায় ঝুলানো গাছ হিসাবে মানি প্লান্ট, ফার্ণ, সিলোন গোল্ড ইত্যাদি। ছোট ছোট মাটি, প্লাস্টিক, কাঠের, বাঁশের তৈরি টবে করে জানালা ও বারান্দার গ্রীল এর সাথে ঝুলানো যায় গাছগুলো।
মাটি ছাড়াই কাচের বা প্লাস্টিক বা টিনের কন্টেইনারে পানি ভর্তি করে ঘরের কর্ণারে রাখা যায় পানিতে জন্মে এমন গাছ কচুরিপানা, শাপলা, পদ্ম, মানি প্লান্ট ইত্যাদি।
- খোলা লোমকূপজনিত সমস্যা সমাধানে দৈনন্দিন সবজি - May 4, 2020
- মানসিক ও শারীরিক সুস্থতায় বাগানের কার্যকারিতা - April 22, 2020
- বাসা-বাড়ি পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত রাখার উপায় - April 12, 2020