রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র আগারগাওতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের পশ্চিমে গত ২০ই জুন ২০১৯ ইং বুধবার থেকে শুরু হয়েছিল মাসব্যাপী । মেলাটি চলবে আগামী ২০ই জুলাই পর্যন্ত।
প্রতিবারের মতো এবারও মেলায় স্থান পেয়েছে বিভিন্ন রকম ফলজ, বনজ, ঔষধি ও ঘরোয়া গাছ। দেশী বিদেশী সহস্র গাছের পসরা নিয়ে মেলায় এসেছে শতাধিক নার্সারী। শুধু গাছই নয়; মাটি, কোকোপিট, বিভিন্ন সরঞ্জাম, প্ল্যান্ট পট, টব, সার, কম্পোস্ট সব রকম জিনিস নিয়েই মেলা সাজিয়েছে নার্সারী মালিকরা।

ভিয়েতনামী নারিকেল গাছ
প্রায় শতাধিক নার্সারী, ৭টির মতো সরকারী প্রতিষ্ঠান, ৯ টি হস্ত ও কারুশিল্প ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব তৈরি সামগ্রী নিয়ে মেলা সাজিয়েছে এবার। এছাড়াও একটি তথ্যকেন্দ্র এবং একটি নিয়ন্ত্রণকক্ষ রয়েছে মেলায়।



চারা গাছের পসরা নিয়ে বসেছে



নামের ট্যাগসহ চারাগাছ



একজন প্রবীণ দর্শনার্থী মেলা ঘুরে দেখছেন



বনসাই
প্রথম দিন থেকেই বৃক্ষপ্রেমীদের ঢল নামে মেলায়। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে ছিল উপচে পরা ভীড়। সবাই গাছ দেখছেন, চিনছেন, পছন্দ হলে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিবারের মতো এবারও মেলায় দাম নিয়ে ক্রেতাদের অভিযোগ ছিল। উত্তরা থেকে আসা বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা সালাহউদ্দিন জানান, ‘গত দুইবছর ধরে মেলায় আসছি। অনেক রকম গাছপালা চিনতে পেরেছি। কিন্তু এখান থেকে গাছ খুব একটা কেনা হয় না। মেলায় যে গাছের দাম ১৪০০-১৫০০ তাকা দাবি করে, উত্তরার লোকাল নার্সারীতে সেই গাছই দরদাম করে ৩০০-৪০০ টাকায় কেনা যায়। আবার এখান থেকে বহন করে নেওয়াটাও খরচসাপেক্ষ।’



লাকী ব্যাম্বু



সাকুলেন্টস



সুন্দর সিরামিকসের পটে কঞ্চি বাশ জাতীয় গাছ



হরেক রকম সাকুলেন্ট



গাছে পানি ছিটাচ্ছেন নার্সারীর মালি



আরও সাকুলেন্ট
ধানমন্ডি থেকে মেলায় ঘুরতে আসা গৃহিনী ফরিদা জামান গ্রিনিকালচারকে বলেন, ‘বাসায় ও ছাদে ছোট্ট পরিসরে বাগান করা হয়, অবসরে নিজেই সময় দিই। সারাবছর অপেক্ষা করি এই মেলার জন্যে। অনেকরকম এক্সোটিক ভ্যারাইটি ও হাইব্রিড জাতের গাছ পাওয়া যায় এই মেলায়। আজসহ তিনবার ঘরে গেলাম ও কিছু কিছু গাছ কিনেছি। আরও কয়দিন ঘুরতে আসবো।



ধু ধু দিগন্তে গাছ আর গাছ



নানা রকম ঘরোয়া উদ্ভিদ



আম গাছে আম ধরেছে



সৃজনশীল প্রদর্শনীও ছিল মেলা জুড়ে



ছাউনী বেষ্টিত বাগান
মেলায় এবার বিদেশী জাতের ফলগাছ ও বনসাইয়ের ব্যাপক চাহিদা। এভোক্যাডো, রাম্বুটান, নাশপাতি, আলুবোখারা, সৌদি খেজুরের চারার ব্যাপারে সবার আগ্রহ বাড়ছে। এছাড়া অনেকে বিভিন্নরকম বনসাইয়ের চারা বিক্রি হচ্ছে। প্রায় লাখ টাকা দামের বনসাইয়ের চারাও আসছে মেলার শেষ দিকে।
এ বছর মেলায় ৪০ হাজার টাকা দামের সবুজ আপেলের চার বিক্রি হয়। এটিই এখন পর্যন্ত গ্রিনিকালচারের হাতে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বিক্রিত সবচেয়ে দামী চারা।
- মহামারীতে খাদ্য ঘাটতি মোকাবেলায় আমাদের করণীয় - April 19, 2020
- অযুত সম্ভাবনার ভিটামিন সমৃদ্ধ ধান ‘গোল্ডেন রাইস’ - November 29, 2019
- কোরবানির পশু সুস্থ ও হরমোনমুক্ত কিনা বুঝবেন যেভাবে - August 8, 2019