কমলার মতোই এটি কলম ও বীজ দুইভাবেই বংশ বিস্তার করা সম্ভব। মুলত জোড়কলম ও কুঁড়ি সংযোজন বা টি-বাডিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
সাতকরার বীজের গাছে মাতৃগাছের গুণাগুণ হুবুহু বজায় থাকে না। বীজ থেকে ফল আসতে অনেক দেরি হয়। এতে প্রায় ১৫-১৬ বছর সময় লাগে। বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের ক্ষেত্রে এত সময় প্রয়োজন হলে তা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিকর। তাছাড়া গাছটি ভালোও হতে পারে আবার খারাপও হতে পারে।
এ জন্য বীজ থেকে এর বংশবৃদ্ধি না করে কলম পদ্ধতিতে চাষ করা হয়। শাখা কলম বা টি-বাডিং পদ্ধতিতে বেশি করা হয়। কিন্তু এর সমস্যা হচ্ছে যেখানে জোড়া দেওয়া হয় সেখানে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করে। এজন্যে সাতকরা চাষে অঙ্গজ পদ্ধতিতে বংশবিস্তার ঘটানো হয়ে থাকে। আরও জানুন সাতকরার আদ্যোপান্ত।
গ্রাফটিং এর জন্যে প্রথমেই আদিজোড় বা রুটস্টোক তৈরি করে নিতে হবে। বাতাবিলেবু, রাফলেমন, কাটা জামির, রংপুর লাইম প্রভৃতি রুট স্টক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অতঃপর কাঙ্ক্ষিত মাতৃগাছ হতে ডাল বা কান্ড সংগ্রহ করে রুটস্টকটির উপর স্থাপন করতে হবে। এভাবে সাতকরার গ্রাফটিং করা হয়। রুটস্টক হিসেবে ১-১.৫ বছর বয়স্ক সুস্থ, সবল, অধিক ফলন্ধারী চারা নির্বাচন করতে হয়। নির্বাচিত মাতৃগাছ হয়ে উপজোড় তৈরির জন্যে দুটি চোখসহ ৫-৬ সেন্টিমিটার লম্বা ও ৮-৯ মাস বয়সের ডাল সংগ্রহ করতে হবে। মূলত বসন্তের শুরুতে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাসে মধ্যে অথবা বর্ষা ঋতুর দিকে অর্থাৎ মে থেকে জুন মাসের মধ্যে কলম করা সবচেয়ে শ্রেয়। কলম করার পর ১০-১২ দিনের মধ্যে রুটস্টক ও উপজোড়ের মধ্যে সংযোগ স্থাপিত হয়ে যায়। কলম হতে একাধিক ডাল বের হতে পারে। এর মধ্যে সুস্থ সবল ও সোজাভাবে বেড়ে ওঠা ডালগুলো বাদে বাকিদের ছেটে ফেলতে হয়।
- বাংলাদেশে পঙ্গপাল আক্রমণের সম্ভাবনা - July 10, 2020
- রকমেলন চাষ ও এর পরিচর্যা - July 6, 2020
- ঘরোয়া উদ্ভিদের রোগ-বালাই নিয়ন্ত্রণ – দ্বিতীয় পর্ব - July 3, 2020