ঘানিতে ভাঙ্গা ও মেশিনে ভাঙ্গা সরিষার তেলের পার্থক্য বুঝতে হলে আমাদের জানতে হবে এই দুই পদ্ধতির উৎপাদন প্রক্রিয়া কিভাবে হয়।
ঘানি ভাঙ্গা সরিষার তেল কুল প্রেসড (স্বাভাবিক তাপমাত্রা) টেকনোলজিতে উৎপাদিত হয়, যার ফলে সরিষার তেলে একেবারে প্রাকৃতিক উপাদান পাওয়া যায়। যার পুষ্টিগুন শতভাগ থাকে। এটাকে এক্সট্রা ভার্জিন তেল বলে। তবে এই পদ্ধতিতে তৈলবীজের পুরো তেল বের হয় না এবং সময় বেশি লাগে। ফলে তেলের উৎপাদন খরচ বাড়ে। এই পদ্ধতিতে উৎপাদিত তেল প্রায় ১ বছর পর্যন্ত ভাল থাকে। খাঁটি প্রাকৃতিক সরিষার তেল বলতে আসলে এই পদ্ধতিতে উৎপাদিত সরিষার তেলকেই বুঝানো হয়।
বৃহৎ শিল্প কারখানায় উৎপাদিত সরিষার তেল হট প্রেসড (উচ্চ তাপমাত্রা) পদ্ধতিতে তেল উৎপাদন হয়। এই পদ্ধতিতে উৎপাদিত তেলের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায় এবং দেখতে অনেক পরিষ্কার থাকে। অনেকে স্বাদ, গন্ধ, রঙ অটুট রাখার জন্য বিভিন্ন কেমিক্যাল যোগ করে। এই পদ্ধতিতে তৈল বীজের প্রায় পুরো তেলই সংগ্রহ করা যায় ফলে সর্বোচ্চ পরিমাণে পাওয়া যায় এবং উৎপাদন খরচ কমে যায়। এই পদ্ধতিতে উৎপাদিত তেলের মেয়াদকাল সাধারণত ৬ মাস তবে শিল্প কারখানায় প্রয়োজনীয় কেমিক্যাল যুক্ত করে এর মেয়াদ এক বছর পর্যন্ত বর্ধিত করা যায়।
আদী খাঁটি সরিষার তেল এর বীজ আসে জামালপুর থেকে, আর ভাঙ্গানো হয় আদিম ও প্রাকৃতিক ঘানিতে। আমরা বৃহত্তর উৎপাদনের চেয়ে কোয়ালিটির উপর বেশি জোর দিই। আমাদের তেল নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন দৈনন্দিন খাবার রান্নায়, মেজবানীতে, সর্ষে ইলিশে, ভর্তা তৈরিতে, এছাড়াও আপনার শিশুর প্রাকৃতিক যত্নে নিয়মিত সরিষার তেলের মালিশের বিকল্প নেই। ব্যবহার করতে পারেন আদী খাঁটি সরিষার তেল একদম নির্বিঘ্নে।
Reviews
There are no reviews yet.